ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধের সিদ্ধান্ত
ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধের সিদ্ধান্ত
করোনাভাইরাসের
সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে ঘোষিত ছুটিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের
একটি বেঞ্চ পরিচালনার সিদ্ধান্ত আগামী ৫ মে পর্যন্ত
স্থগিতই থাকছে। আজ রোববার অনুষ্ঠিত
সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
এর ফলে সাধারণ ছুটিতে আদালত খুলছে না। সভায় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই সভা অনুষ্ঠিত
হয়। আজ রোববার বেলা
সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে
চলা ফুল কোর্ট সভায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি
অংশ নেন। আর ভিডিও কনফারেন্সের
মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই ফুল কোর্ট
সভা দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম।
সুপ্রিম কোর্ট |
করোনাভাইরাসের
সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে ঘোষিত ছুটিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের
একটি বেঞ্চ পরিচালনার সিদ্ধান্ত আগামী ৫ মে পর্যন্ত স্থগিতই থাকছে। আজ রোববার অনুষ্ঠিত
সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে সাধারণ ছুটিতে আদালত খুলছে
না। সভায় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর বিষয়েও
সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা ফুল কোর্ট সভায় সুপ্রিম
কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি অংশ নেন। আর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত
এই ফুল কোর্ট সভা দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম।
সভার সিদ্ধান্ত
অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) সব বিচারিক
কার্যক্রম ৫ মে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। হাইকোর্ট বিভাগের রুলস প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠন
করা হবে। এ ছাড়া সভায় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতিকে
অনুরোধ জানানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয় বলে সভাসশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।
সভার
সিদ্ধান্তের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান পরে প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ ও দেশের অধস্তন
আদালতে ভিডিও/অডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালনার নিমিত্ত বিচারক, আইনজীবী এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফর্মস।
এ বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম ও অগ্রগতি সম্পর্কে
প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করবে কমিটি। অধস্তন আদালতে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা স্ব স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
এর
আগে ২৩ এপ্রিল প্রধান
বিচারপতির আদেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়েছিল, কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য ছুটি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান চেম্বার আদালতে বসবেন। ছুটিকালীন হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সব অধিক্ষেত্রের অতি
জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এরপর
গতকাল শনিবার এই সিদ্ধান্ত ২৭
এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। একই দিন অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আজ রোববার ফুল
কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ওই ফুল কোর্ট
সভা হয়।
No comments